ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায়
বেকারত্বের এই যুগে কাজ খুঁজে পাচ্ছেন না? টাকা ইনকাম করে পরিবারকে সাহায্য করতে চান কিন্তু দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না? ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করে নিজেই স্বাবলম্বী হতে পারেন। ঘরে বসেই নিজে থেকে কিছু করে যদি মাস শেষে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায়, তবে সেটা ভালো নয় কি? আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন ইনকাম করার সকল উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়
অনেকেই প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করছে। আমরাও চাইলে ফ্রীলান্সিং শুরু করে একটা সময় পর নিজে থেকে ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারি। ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আমাদের প্রয়োজন হবে ইচ্ছে এবং ধৈর্যশক্তি। আপনার কাছে যদি এই দুইটি জিনিস থাকে, তবে আপনার দ্বারা ফ্রীলান্সিং করে আয় করা সম্ভব।
ফ্রীলান্সিং এর পরিধি অনেক বিশাল। সহজ কোথায় বলতে পারি একটি সমুদ্রের মতো। ফ্রীলান্সিং এর মাঝে অনেক কাজ রয়েছে। সেখানে থেকে আপনি ইচ্ছে মতো যেকোনো কাজ করেই ইনকাম করতে পারবেন। যে কাজটি আপনার কাছে পছন্দ হবে, শিখতে এবং করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন, সেটি দিয়ে আজকে থেকে ফ্রীলান্সিং শুরু করতে পারেন। নিচে ফ্রীলান্সিং এর মাঝে অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি কাজের তালিকা পেয়ে যাবেন। এগুলো শিখে আপনিও মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার সেক্টরগুলো হচ্ছে :
- ব্লগিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম
- ইউটিউবিং করে অনলাইনে ইনকাম
- পেইড সার্ভের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম
- ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে টাকা আয়
- গুগল এডসেন্স থেকে অনলাইন ইনকাম
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম
- ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ টেস্টার হয়ে অনলাইনে ইনকাম
- ছবি এবং ফুটেজ বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম
- ডোমেইন নেম বেচা-কেনার মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম
- ডেটা এন্ট্রি করে অনলাইন ইনকাম
উপরোক্ত সকল কাজ ফ্রীলান্সিং এর অন্তর্ভুক্ত। আপনি ইচ্ছে মতো যেকোনো কাজ শিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রথমেই যে কাজটি করে ইনকাম করতে চাচ্ছেন, সেটি শিখতে হবে। প্রথমেই শিখতে হবে, যখন অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন, তখন কাজের অভাব হবে না। অনভিজ্ঞ অবস্থায় মার্কেটপ্লেসে না যাওয়াই উত্তম। এতে করে কাজ করার ইচ্ছে কমে যায়।
ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায় সেটা নির্ভর করবে আপনি যে কাজ করছেন সেটিতে আপনি কতটা দক্ষ। একজন দক্ষ এবং অভিজ্ঞ ফ্রীলান্সার প্রতি মাসে কয়েক হাজার ডলার অব্দি ইনকাম করে থাকে। তাই, ফ্রীলান্সিং শুরু করার পর কাজ শেখা ছেড়ে দেয়া যাবে না। যত বেশি অভিজ্ঞ হবেন, ততবেশি ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি যে কাজ করবেন, সেটির উপর ভিত্তি করেও ইনকাম কম বা বেশি হতে পারে। যেমন : আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি এর কাজ করেন, তবে সঙ্গত কারণেই আপনার ইনকাম কম হবে।
কিন্তু, আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডোমেইন কেনা বেচা করেন, তবে আপনার ইনকাম অনেক বেশি হবে। তাই, ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে, আপনি যে সেক্টরে ফ্রীলান্সিং করবেন, সেটি নিয়ে রিসার্চ করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করা যায়
আপনি বিভিন্নভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। উপরে দেয়া ফ্রীলান্সিং এর সেক্টরগুলোর মাঝে আপনার যে কাজটি করতে সহজ মনে হয় সেটি দিয়ে ফ্রীলান্সিং শুরু করতে পারেন। আপনার পছন্দের একটি ফ্রীলান্সিং সেক্টরে কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই উক্ত কাজ শিখতে হবে। কাজ শেখার পর মার্কেটপ্লেসে ঢুকে কাজ করে আয় করতে পারবেন। ফ্রীলান্সিং এর অনেক সেক্টর রয়েছে। তাই, একটি কাজ শেখার আগে সেটি ভালোভাবে রিসার্চ করে নিবেন। আপনার পক্ষে শেখা সম্ভব নয় কিংবা উক্ত সেক্টরের ভবিষ্যৎ নেই, এমন সেক্টরের কাজ শেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। দক্ষতা অর্জন করুন, টাকা আপনা আপনি আসবে।