Abu Shaid

YouTuber

Entrepreneur

0

No products in the cart.

Abu Shaid
Abu Shaid
Abu Shaid
Abu Shaid
Abu Shaid

YouTuber

Entrepreneur

Blog Post

ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে

ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয় করার কয়েকটি উপায় রয়েছে। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন, তবে সেই ওয়েবসাইট দিয়ে প্রতি মাসে যেমন ইনকাম করতে পারবেন, তেমনি ওয়েবসাইট বিক্রি করে ইনকামও করতে পারবেন। আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো, কিভাবে ওয়েবসাইট বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যায়।

ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয় করার উপায়

ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয়
ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয়

ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয় করতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই একটি ওয়েবাসাইত বানাতে হবে। একটি ওয়েবসাইট বানাতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ডোমেইন নাম এবং হোস্টিং। ডোমেইন নাম হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের নাম। আপনি যে ওয়েবসাইট বানাবেন, সেটির একটি নাম প্রয়োজন হবে। এজন্য আপনাকে একটি ডোমেইন নাম কিনতে হবে। এরপর, প্রয়োজন হবে হোস্টিং এর। হোস্টিং আবার কি? আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের সকল তথ্য যেখানে সংরক্ষন করে রাখবো, কেউ আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্য যেন দেখতে পারে, এজন্য একটি জায়গা প্রয়োজন হবে। এটাই হচ্ছে হোস্টিং। হোস্টিং কিনে হোস্টিং এর সাথে ডোমেইন যুক্ত করতে হবে। তৈরি হয়ে গেলো আমাদের ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইট তো তৈরি হয়ে গেলো, এখন আমরা এই ওয়েবসাইট বিক্রি করলে কেউ কিনবে? না, কেউ কিনবে না। কারণ, আমাদের ওয়েবসাইটে কিছুই নেই। ওয়েবসাইট বিক্রি করতে চাইলে আপনি কয়েকটি মাধ্যম অনুসরণ করতে পারেন। অর্থাৎ, একটি ওয়েবসাইট বিক্রি করার কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে :

  • গুগল এডসেন্স অনুমোদন নিয়ে বিক্রি করা
  • এমাজন এফিলিয়েট করে ওয়েবসাইট বিক্রি করা
  • ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে সেটি বিক্রি করা
  • নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করা
  • ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করে বিক্রি করা

উপরোক্ত সবগুলো পদ্ধতি দিয়েই আপনি একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেটি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তো চলুন, উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে কিভাবে ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয় করা যায়, বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

গুগল এডসেন্স অনুমোদন নিয়ে বিক্রি করা

গুগল এডসেন্স অনুমোদন নিয়ে ওয়েবসাইট বিক্রি করতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই একটি ওয়েবসাইট বানাতে হবে। এরপর, সেই ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে। কমপক্ষে ৩০-৪০ টি কন্টেন্ট এসইও করে পাবলিশ করার পর গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসা শুরু করবে, তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগল থেকে আপনার ওয়েবসাইট রিভিউ করে যদি অনুমোদন দেয়, তবে আপনি সেই ওয়েবসাইট বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান বাজারে, একটি গুগল এডসেন্স এপ্রুভ ওয়েবসাইটের দাম ২০ হাজার টাকার উপরে।

এমাজন এফিলিয়েট করে ওয়েবসাইট বিক্রি করা

একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে এমাজন এফিলিয়েট করতে হবে। এজন্য আপনি এমাজন এর বিভিন্ন প্রোডাক্ট রিভিউ করতে পারেন। প্রোডাক্ট রিভিউ করে আপনার অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে যখন টাকা ইনকাম শুরু হবে, তখন ওয়েবসাইটটি বিক্রি করে দিতে পারবেন। আপনার একটি এমাজন এফিলিয়েট ওয়েবসাইট থেকে যদি প্রতি মাসে $150 ডলার ইনকাম হয়, তবে আপনি উক্ত ওয়েবসাইটটি ঐ দামের ২৮-৩০ গুন বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারবেন।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে সেটি বিক্রি করা

ই-কমার্স ওয়েবসাইটের চাহিদা এখন অনেক বেশি। আপনি যদি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে পারেন, তবে সেই ওয়েবসাইট বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই ডেভেলপার দিয়ে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে নিয়ে থাকে। আপনি চাইলে তাদের হয়ে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করা

ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মতো করে আপনি নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইট বানিয়ে সেটি বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে থিম কাস্টমাইজ করা জানতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা পিএইচপি দিয়ে বিভিন্ন নিউজ থিম কাস্টমাইজ করে নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইট বানিয়ে সেটি বিক্রি করে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করে বিক্রি করা

ওয়েবসাইটের ট্রাফিক অর্থাৎ ভিজিটর বৃদ্ধি করে সেই ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। ওয়েবসাইটে প্রচুর ট্রাফিক রয়েছে, এমন ওয়েবসাইটের চাহিদা অনেক বেশি। ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে আপনাকে এসইও শিখতে হবে। এরপর একটি ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্ক করিয়ে সেই ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।